২০০৯ সালে সংঘটিত পিলখানা (বিডিআর) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য গঠিত কমিশনকে আজ বুধবার তিনি এ তাগিদ দেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে সংঘটিত ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত হওয়া সদস্যরা ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীতে সড়ক অবরোধ করেছেন। আজ সোমবার দুপুর ১টায় শিক্ষা ভবন মোড়ে অবস্থান নেন তাঁরা...
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাবেক বিডিআর সদস্যরা জড়ো হয়ে অবস্থান নিতে শুরু করলে পিলখানার চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়। জলকামানসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা হয়।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে সাক্ষ্য দিতে ডেকেছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন। আজ শনিবার এ-সংক্রান্ত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কমিশন। আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিশনের ধানমন্ডি কার্যালয়ে হাজির হয়ে বা অনলাইনে সাক্ষ্য দিতে বলা হয়েছে।
ইতিহাসের নৃশংসতম পিলখানা হত্যাকাণ্ডবিষয়ক জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের ওয়েবসাইটে তদন্ত কার্যক্রমে সহায়ক তথ্য দিয়ে কমিশনকে সাহায্য করার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করতে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কমিশন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনাসদস্যদের এবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্মরণ করা হয়েছে। ১৬ বছর পর সরকার দিনটিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার এক দিন পর গতকাল মঙ্গলবার নিহত ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মরণ করা হয়।
সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানের প্রতি অকারণে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং তাদের আক্রমণ না করে উপদেশ দিলে দেশ ও জাতি আরও এগিয়ে যাবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ড স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা
জনগণ সংগঠিত না হয়ে নিজেদের মধ্যে হানাহানি ও বিষোদ্গার করতে থাকলে তা অপরাধীদের চমৎকার সুযোগ বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন হলে আয়োজিত ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন।
নিজেরা হানাহানিতে লিপ্ত থাকলে দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে, এমন সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন হলে আয়োজিত ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান
বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি, প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস। ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সকল শহীদের স্মরণে এখন থেকে প্রতিবছর এই দিনটিকে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’
বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম শোকাবহ এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের ঘোষণা দিয়েছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক পরিপত্রে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করেছে সরকার। আজ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব তানিয়া আফরোজ স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্তারিত জানতে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদকে খুব প্রয়োজন। মইন হাসিনাসহ যারা বিদেশে রয়েছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ইতিমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দূতাবাসগুলোতে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন...
শহীদ কর্নেল মজিবুল হকের স্ত্রী নাহরীন ফেরদৌস পিলখানায় নিহতদের স্বজনদের এই নতুন সংগঠনের নাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘এই সংগঠন গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো—শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের অবদান তুলে ধরা, তাদের স্মৃতি ধরে রাখা এবং শহীদ পরিবারগুলোর কল্যাণে কাজ করা...
বিডিআর বিদ্রোহে সাজাপ্রাপ্ত বিডিআরদের মুক্তি এবং চাকরি ফেরতের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করেছেন আন্দোলনকারীরা। আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয় ঘেরাও করেন তাঁরা। এর আগে সাড়ে ১২টার দিকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সদস্য ও সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলার আসামিরা আজ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ৪১ জন। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে একে একে ৪১ জন কারাবন্দী মুক্তি পান।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কারাগারে আটক ১৭৮ জন বিডিআর জওয়ানের কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। আজ মঙ্গলবার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার চিফ প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।